Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

ভুট্টা ফসলে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ও ব্যবস্থাপনা

ভুট্টা সারা বছর চাষযোগ্য বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী দানাজাতীয় ফসল। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি। এতে প্রায় ১১% আমিষজাতীয় উপাদান রয়েছে। উন্নত পুষ্টিমান ও বহুবিধ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে ভুট্টার আবাদ দিন দিন বেড়ে চলেছে। ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে, গাছ ও সবুজ পাতা গোখাদ্য হিসেবে এবং হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে ২০১৬-১৭ সালে ভুট্টার আওতায় জমির পরিমাণ ৩৮৯৭০০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩০২৬০০০ মেট্রিক টন। ভুট্টার গড় ফলন আশানুরূপ নয়। ফলন কম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ। এসব ক্ষতিকর পোকা ভুট্টা উৎপাদনে প্রভাব বিস্তার করে এবং এদের আক্রমণে ফসলের উল্লেখযোগ্য অংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য কারণে বাংলাদেশে ভুট্টা ফসলে নতুন নতুন পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ হতে ফসল রক্ষার জন্য এদের আক্রমণের ধরন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা অত্যন্ত জরুরি। নি¤েœ ভুট্টা ফসলের প্রধান প্রধান ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
কাটুই পোকা (ঈঁঃড়িৎস, অমৎড়ঃরংরঢ়ংরষড়হ)
পোকার লার্ভা মাটি সংলগ্ন চারা গাছের গোড়া কেটে দেয়। একটি লার্ভা একাধিক গাছের গোড়া কেটে দিতে পারে। লার্ভাগুলো দিনের বেলায় মাটির ফাটলে, ঢেলা ও আবর্জনায় লুকিয়ে থাকে এবং রাতের বেলায় ক্ষতিসাধন করে। অতিরিক্ত আক্রমণে জমিতে গাছের সংখ্যা কমে যায় এবং ফলন কম হয়। পূর্ণতাপ্রাপ্ত লার্ভা ৪০-৫০ মিমি লম্বা, কালচে বাদামি বা মেটে বর্ণের।
ব্যবস্থাপনা
*জমি চাষের সময় পোকার লার্ভা এবং পিউপা সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
*কাটা চারার নিকটে লার্ভাগুলো লুকিয়ে থাকে। এ জন্য সকাল বেলা হাত দ্বারা আশপাশের মাটি খুঁড়ে লার্ভা সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
*ক্ষেতে সেচ দেওয়া হলে লার্ভাগুলো বের হয়ে আসে। এ সময় কাঠি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হবে।
*অত্যাধিক আক্রমণে নিম্নলিখিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে-
ক্লোরপাইরিফস (ডারসবান ২০ ইসি বা পাইরিফস ২০ ইসি বা ক্লাসিক ২০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ৫ মিলি অথবা নাইট্রো ৫৫ ইসি (ঈযষড়ৎঢ়ুৎরভড়ং+ঈুঢ়বৎসবঃযৎরহ) প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি অথবা বীজবপনের সময় প্রতি হেক্টরে ২০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি, ব্রিফার ৫জি বা অন্য নামের) প্রয়োগ করতে হবে।
জাব পোকা (অঢ়যরফং, জড়ঢ়ধষড়ংরঢ়যঁসসধরফরং)
পূর্ণ বয়স্ক পোকা ও নিম্ফ উভয়েই গাছের পাতা, নতুন ডগা, টাসেল ও কচি মোচার সবুজ অংশ থেকে রস চুষে খায়। এরা মধু রস নিঃসৃতকের ফলে আক্রান্ত অংশে শুটিমোল্ড জন্মায় এবং কাল রঙ ধারণ করে। টাসেলে মধু রস জন্মালে পরাগায়নে বিঘœ ঘটে ফলে মোচায় সঠিকভাবে দানা তৈরি হয় না। অতিরিক্ত আত্রমণে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ফলন কমে যেতে পারে। এরা ভাইরাস রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে।
ব্যবস্থাপনা
*পূর্ণ বয়স্ক পোকা ও নিম্ফ প্রাথমিক অবস্থায় ডগা এবং পাতায় দলবদ্ধভাবে অবস্থান করে। এই অবস্থায় এদেরকে হাত দিয়ে পিষে মেরে ফেলতে হবে।
*বিভিন্ন বন্ধু পোকা যেমন লেডি বিটল, সিরফিডফ্লাই এবং জবফ ঝড়ষফরবৎ নববঃষব  জাবপোকা খায়। এ সমস্ত বন্ধু পোকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
*অত্যধিক আক্রমণে ম্যালাথিয়ন (ফাইফানন ৫৭ ইসি, সাইফানন৫৭ ইসি, ম্যালাটন৫৭ ইসি, ম্যালাটাফ৫৭ ইসি, সুমাডি৫৭ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ১ মিলি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
মাজরা পোকা (ঝঃবস নড়ৎবৎ, ঈযরষড়ঢ়ধৎঃবষষঁং)
লার্ভা কচি কাÐ ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে এবং ডিগ পাতার গোড়া কেটে দেয়। ফলে গাছের বিবর্ণ ডগা (উবধফ যবধৎঃ) লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত ডগা শুকিয়ে যায় এবং টান দিলে উঠে আসে। এরা বড় গাছে আক্রমণ করে কাÐে ছিদ্র করে ভেতরের অংশ খায় । ফলে অল্প বাতাসে বড় গাছ ভেঙে পড়ে এরা মধ্যস্থ পাতা ছিদ্র টাসেল আক্রমণ করে, টাসেল কেটে দেয়  (চিত্র-১) ফলে পরাগায়ন ব্যাহত হয়। মোচা ধরার পর এরা মোচায় আক্রমণ করে দানা নষ্ট করে ফেলে। এরা রাতের বেলায় কার্যক্ষম। পূর্ণতাপ্রাপ্ত লার্ভা ২০-২৫ মিমি লম্বা, গায়ে রঙ্গিন ডোরাসহ অনেক ফোটা যুক্ত দাগ দেখা যায়। এরা পূর্ণাঙ্গ লার্ভা হিসাবে ভুট্টার সংগ্রহ পরবর্তী গাছ, ডালপালা ও অসংগ্রহকৃত দানায় অবস্থান করে এবং পরবর্তী মৌসুমে পুনরায় আক্রমণ করে।
ব্যবস্থাপনা
*ফসল সংগ্রহের পর অবশিষ্ট অংশ নষ্ট করে ফেলতে হবে কারণ পোকার লার্ভা এদের মধ্যে অবস্থান করে।
*ডিমের গাদা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে।
*অত্যধিক আক্রান্ত এলাকায় বীজবপনের সময় হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি, ব্রিফার ৫জি বা অন্য নামের) প্রয়োগ করতে হবে।
*আক্রান্ত গাছ হতে লার্ভা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
*ভুট্টা গাছের উপর থেকে হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি, ব্রিফার ৫জি বা অন্য নামের) এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন কীটনাশকের দানাগুলো পাতার ভেতরে আটকে যায় (ডযড়ৎষ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ)।
*অত্যধিক আক্রমণে ডায়াজিনন (সেবিয়ন ৬০ ইসি, হেজিনন৬০ ইসি, ডায়াজল৬০ ইসি, ডায়াজন৬০ ইসি, ডায়াজিনন৬০ ইসি বা অন্য নামের) অথবা কার্বোসালফান (মার্শাল ২০ ইসি, সানসালফান ২০ ইসি, জেনারেল ২০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে-
গোলাপীমাজরা পোকা (চরহশ নড়ৎবৎ, ঝবংধসরধরহভবৎবহং)
সদ্য জাত লার্ভা কচি কাÐ ছিদ্র করে ভেতরের নরম অংশ খায় ফলে মধ্য ডগা বা মাইজ মরে যায়। লার্ভা গোলাপী রঙের এর মাথা কালচে কমলা বর্ণের হয়। আক্রান্ত ডগা হাত দিয়ে টান দিলে উপরে উঠে আসে। এরা মধ্যস্থ পাতা ছিদ্র করে টাসেলে আক্রমণ করে, টাসেল কেটে দেয় (চিত্র-২) ফলে পরাগায়ন ব্যাহত হয়।
ব্যবস্থাপনা
*আলোর ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে।
*আক্রান্তগাছ হতে লার্ভা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।  
অত্যধিক আক্রান্ত এলাকায় বীজবপনের সময় হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি, ব্রিফার ৫জি বা অন্য নামের) প্রয়োগ করতে হবে।
অতিরিক্ত আক্রমণে ডায়াজিনন (সেবিয়ন ৬০ ইসি, হেজিনন৬০ ইসি, ডায়াজল৬০ ইসি, ডায়াজন ৬০ ইসি, ডায়াজিনন৬০ ইসি বা অন্য নামের)   অথবা কার্বোসালফান (মার্শাল ২০ ইসি, সানসালফান ২০ ইসি, জেনারেল ২০ ইসি বা অন্য নামের) প্রতিলিটার পানিতে ২ মিলি কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
আর্মিওয়ার্ম (অৎসুড়িৎস, গুঃযরসহধংবঢ়ধঃধঃধ)
পোকার লার্ভা গাছের মধ্যস্থ ভেতরের নরম পাতায় আক্রমণ করে খায়। এরা পাতার কিনারা দিয়ে খাওয়া শুরু করে। পরবর্তীতে লার্ভাগুলো বয়স্ক পাতায় আক্রমণ করে। অতিরিক্ত আক্রমণে গাছ পাতাবিহীন হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত গাছে পোকার মল দেখা যায়। লার্ভাগুলো গাছের টাসেল এবং মোচায়ও আক্রমণ করে। পূর্ণতাপ্রাপ্ত লার্ভামাটির ভেতরে চেম্বার তৈরি করে পিউপা ধাপ সম্পন্ন করে।
ব্যবস্থাপনা
*আক্রান্ত গাছ থেকে লার্ভাগুলো হাত দ্বারা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
*জমি চাষের সময় মাটিতে অবস্থানরত পোকার পিউপা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।  
অত্যাধিক আক্রমণে স্পেনোসেড (ট্রেসার ৪৫ এসসি @, ০.৪মিলি/লিটার বা সাকসেস ২.৫ এসসি@ ১.৩ মিলি/লিটার) বা এমামেকটিন বেনজোয়েট (প্রোক্লেম ৫ এসজি, সাহাম৫ এসজি, হেক্লেম৫ এসজি বা অন্য নামের) @১ গ্রাম/লিটার) কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে-
ফল আর্মিওয়ার্ম (ঋধষষ অৎসুড়িৎস, ঝঢ়ড়ফড়ঢ়ঃবৎধভৎঁমরঢ়বৎফধ)
এটি ভুট্টা ফসলের একটি নতুন বিধ্বংসী পোকা। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম পোকাটির আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। এটি একটি সর্বভুক পোকা, এরা ২৬টি পরিবারের ৮০টি ফসলে আক্রমণ করে থাকে, যার মধ্যে ভুট্টা সর্বাধিক আক্রান্ত ফসল।
এরা ভুট্টা গাছে সকল ধাপে (চারা, অঙ্গজ বৃদ্ধি, টাসেল ও মোচায় দানা তৈরি পর্যায়) আক্রমণ করে থাকে। সদ্যজাত লার্ভা পাতায় ছোট ছিদ্র করে এবং শুধুমাত্র পাতার উপরের সবুজ অংশ খায় । পরবর্তীতে এরা ব্যাপকভাবে পাতা খেয়ে ফেলে। ফলে পাতায় বড় বড় ছিদ্র দেখা যায় । লার্ভাগুলো রাতের বেলায় বেশি ক্ষতি করে। অতিরিক্ত আক্রমণে মাঠের প্রায় সম্পূর্ণ গাছ ঝাঝরা হয়ে যায়। লার্ভাগুলো গাছের খোলের (চিত্র-৩) ভেতরে অবস্থান করে কীটনাশক ও প্রাকৃতিক শত্রæ হতে নিজেদের রক্ষা করে। এরা গাছে মল ত্যাগ করে, যা পরবর্তীতে শুকিয়ে করাতের গুঁড়ার মতো দেখায়। এরা মধ্যস্থ পাতা ছিদ্র করে টাসেলে আক্রমণ করে, টাসেল কেটে দেয় ফলে পরাগায়ন ব্যাহত হয়। মোচা হওয়ার পরে এরা মোচা ও কাÐের সংযোগস্থল ছিদ্র করে মোচার ভেতরে ঢুকে এবং ভেতরের নরম দানা খেয়ে ফেলে ।
ব্যবস্থাপনা
*জমি চাষের সময় মাটিতে অবস্থানরত পোকার পিউপা সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে।  
*ডিমের গাদা এবং ডিম থেকে  সদ্য বের হওয়া লার্ভা (যা একত্রে পাতায় অবস্থান করে) হাত দিয়ে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
*বপনের পূর্বে বীজ শোধন করে জমিতে লাগাতে হবে (ঈৎঁরংবৎ ৭০ ডঝ@৪ গ্রাম/কেজি বীজ।
*আক্রান্ত গাছ থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
*পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ পোকা ধরার জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ অত্যন্ত কার্যকরী। ভুট্টা বীজ লাগানোর পর পরই আক্রান্ত এলাকায় ২০-২৫ মিটার দূরে দূরে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ লাগাতে হবে।
*জমিতে উপকারী পোকা ব্রাকন হেবিটর অবমুক্ত করতে হবে। এক হেক্টর জমির জন্য প্রতি সপ্তাহে ১ বাংকার ব্রাকন (৮০০-১০০০টি পোকা) অবমুক্ত করতে হবে।
*আক্রান্ত এলাকায় জৈব বালাইনাশক এসএনপিভি (ঝঘচঠ) @ ০.২ মিলি/লিটার প্রয়োগ করতে হবে।
*পোকাটি অতিদ্রæত কীটনাশক প্রতিরোদ্বিতা গড়ে তুলতে পারে। এ জন্য অধিক আক্রান্ত এলাকায় একান্ত প্রয়োজনে সঠিক নিয়মে স্পেনোসেড (ট্রেসার ৪৫ এসসি @, ০.৪মিলি/লিটার বা সাকসেস ২.৫ এসসি@ ১.৩ মিলি/লিটার) বা এমামেকটিন বেনজোয়েট (প্রোক্লেম ৫ এসজি, সাহাম৫ এসজি, হেক্লেম৫ এসজি বা অন্য নামের @১ গ্রাম/লিটার) বা ঞযরধসবঃযড়ীধস +ঈযষড়ৎধহষৎধহরষরঢ়ৎড়ষব (ভিরতাকো ৪০ ডবিøওজি@০.৬ গ্রাম/লিটার) কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
মোচা ছিদ্রকারী পোকা (ঈড়ৎহ বধৎড়িৎস, ঐবষরপড়াবৎঢ়ধধৎসরমবৎধ)
এরা গাছের নরম পাতা ও মোচায় আক্রমণ করে। পোকার লার্ভা গাছের পাতা ছিদ্র করে খায় ফলে পাতায় গোলাকার দাগ দেখা যায়। গাছে মোচা ধরার পর এরা মোচায় আক্রমণ করে সাধারণত মোচার উপরের অংশে এদের দেখা যায়। এরা সিল্ক কেটে মোচা থেকে আলাদা করে (চিত্র-৪) ফলে পরাগায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। মোচায় দানা তৈরি পর্যায়ে এরা নরম দানা খেয়ে ফেলে ফলে ভুট্টার ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়। ফসলের প্রকারভেদে লার্ভার গায়ের রঙ সবুজ, গোলাপী, কমলা, হালকা বাদামি বা কালচে ধূসর রঙের হতে পারে।  
ব্যবস্থাপনা
*জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হবে এবং চাষকৃত জমি হতে পোকার পিউপা সংগ্রহ করে নষ্ট করতে হবে।
*জমিতে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ প্রয়োগ করে পুরুষ পোকা ধরার ব্যবস্থা করতে হবে।
* আক্রমণের শুরুতে জেব বালাইনাশক এইচএনপিভি (ঐঘচঠ) প্রতিলিটার পানিতে ০.২ গ্রাম হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
*অতিরিক্ত আক্রমণে স্পোনোসেড (ট্রেসার ৪৫ এসসি ০.৪ মিলি/লিটার বা সাকসেস ২.৫ এসসি @ ১.৩ মিলি/লিটার) অথবা ঞযরধসবঃযড়ীধস +ঈযষড়ৎধহষৎধহরষরঢ়ৎড়ষব (ভলিয়ামফ্লাক্সি ৩০০ এসসি) @ ০.৫মিলি/লিটার অথবা এমামেকটিন বেনজোয়েট (প্রোক্লেম ৫ এসজি, সাহাম৫ এসজি, হেক্লেম৫ এসজি বা অন্য নামের) @১ গ্রাম/লিটার)। কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

ড. মোঃ জুলফিকার হায়দার প্রধান
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কীটতত্ত¡), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সেউজগাড়ী, বগুড়া, মোবা : ০১৭১৬০৭১৭৬৪,  ই-মেইল:  zulfikarhaider@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon